Followers

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

sponsor

sponsor

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

Translate

Footer Left Content

love story

Footer Right Content

Pages

অসমাপ্ত ভালবাসার একটা করুণ প্রেম কাহিনী -২ পর্ব

কোন মন্তব্য নেই
লেখক:রাকিব মাহমুদ
অনেক অনেক দিন আগে এক গ্রাম বাস করতো রবিউল নামে এক তরুণ। সে ছিলো ১০ গ্রামের সবচেয়ে সুদর্শন যুবক। আর তার পাশের বাড়িতেই থাকতো তমা নামে অনন্য সুন্দরী তরুণী। যার রূপ-গুণে পাগল ছিলো গ্রামের পুরুষেরা। কিন্তু তমা ভালোবাসতো রবিউলকে। রবিউলও জীবন দিয়ে ভালোবাসতো তমাকে। পাশাপাশি বাড়িতে থেকে বেড়ে ওঠা দুইজনই নিজেদের অজান্তে পরস্পরকে ভালোবেসে ফেলে। তারপর চুপচাপ তাদের প্রেম চলতে থাকে। রবিউল তমাকে এনে দিলো মিহিসুতার ওড়না। তমা এঁকে দিলো রবিউলের রুমালে প্রজাপতি আর ফুল।
প্রেমতো আর লুকিয়ে রাখা যায় না। তাই একদিন প্রকাশ পেয়ে গেলো তাদের প্রেম আর তখন বাধা হয়ে দাঁড়ালো অভিভাবকেরা। না, কেউ মেনে নিবে না এই ভালোবাসা। রবিউল ও তমা একে অন্যের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষিত হলো। দুই জনের দেখা সাক্ষাৎ বন্ধ করার জন্য দুই বাড়ির মাঝেখানে তুলে দেয়া হলো বিশাল দেয়াল। দেয়াল এতো কঠিন যে এক পাশ থেকে কথাও আর পাশে যেতো না। রবিউল ভাবতো দেয়ালের ওপাশেই তার ভালোবাসার তমা আর তমা ভাবতো দেয়ালের ও পাশেই তার প্রাণপ্রিয় রবিউল। তারা তাদের প্রেমের কথাগুলো দেয়ালকেই বলতো। বলে বলে হালকা করতো বুকের পাথর। তাদের এই প্রেমের আকুতি সহ্য করতে পারলো না পাথরের দেয়ালও। দেয়ালের বুক থেকে সে নিজেই খসিয়ে দিলো একটা পাথর আর তৈরি হলো একটা ফোকর। এই ফোকরেই ঠোঁট রেখে ভোর হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দুইজন কথা বলতো। কিন্তু পরস্পরকে ছুঁতে পারতো না। দেয়ালে চুমু রেখে দুইজনই বিদায় নিতো। এইভাবে তাদের মন ভরতো না। তারা তাদেরকে আরো কাছে পেতে চাইতো। একজন আর জনকে একটু ছুঁয়ে দেখার জন্য অস্থির হয়ে উঠলো। তারা ঠিক করলো এই গ্রাম ছেড়ে দূরে কোথাও পালিয়ে যাবে। কথামত ঠিক করে নিলো কালি মন্দিরের পাশে বট গাছটির নিচে পরস্পর দেখা করবে। তমা কথা মতো আগেই চলে এলো সেই বট গাছের নিচে।
পাশেই ঝর্ণাধারা। হঠাৎ শব্দ শুনে তমা তাকিয়ে দেখে এক সিংহ রক্তমাখা চোয়াল নিয়ে তার দিকেই আসছে। ভয় পেয়ে সে দৌড়ে পালাল। দৌড়ে পালানোর সময় ঝোঁপের কাটায় আটকে গেলো তার ওড়না। সে খেয়ালই করলো না। সিংহ এসে ওড়নায় গন্ধ শুঁকলো, মুখ মুছলো, মানুষের গন্ধ লাগা ওড়নাটা নখে টেনে ছিঁড়ে ফেলে গেলো। ও দিকে রবিউল এসে গর্জন করতে করতে একটা সিংহকে চলে যেতে দেখে তার আত্মা কেঁপে উঠলো। চারপাশে খুঁজতে থাকলো তমাকে। অল্পদূরেই রক্তমাখা ছেঁড়া ওড়নাটা দেখে চেনার বাকি থাকলো না রবিউলের। এ যে তারই দেয়া তমার ওড়না। তবে বুঝি সিংহ তমাকে মেরে খেয়ে নিয়েছে! আহা! কেন সে তমাকে এই বিপদসংকুল স্থানে আসতে বলেছিলো! তার দোষেই হারাতে হলো তমার প্রাণ! প্রিয়তমাকে ছাড়া আর বেঁচে থাকার ইচ্ছা নেই তার। তমার ওড়না জড়িয়ে হু হু করে কেঁদে উঠলো সে। নিজের তলোয়ার বিঁধে দিলো বুকে। আর বেছে নিলো স্বেচ্ছা মৃত্যু। কিছুক্ষণ পর তমা এলো ফের- সিংহ নিশ্চয়ই চলে গেছে আর রবিউলও চলে এসেছে ভেবে। কিন্তু বট গাছের নিচে এসে আবিষ্কার করে রবিউল নিজের বুকে তলোয়ার বিঁধিয়ে নিয়ে রক্তাক্ত পড়ে আছে তার ওড়নাটা জড়িয়ে। তখন সে বুঝতে পারে সব। চিৎকার দিয়ে রবিউলকে জড়িয়ে ধরে। কিন্তু ততোক্ষণে পাইরামস পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে।এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে আর বেঁচে থাকার কোন অর্থ খুঁজে পেলো না তমা।এখনও তার রবিউলকে খুজে বট গাছটির নিচে…………………

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন