Followers

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

sponsor

sponsor

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

Translate

Footer Left Content

love story

Footer Right Content

Pages

অসমাপ্ত ভালবাসার একটা করুণ প্রেম কাহিনী-৪পর্ব

কোন মন্তব্য নেই

লেখক:রাকিব মাহমুদক্লাসের শান্ত মেয়ে প্রিয়া।কারো সাথে তেমন কথা বলে না। চোখ দেখলে সব ভূলার মত অবস্থা সবার। আর তার ঠোট তো ছিল রক্তে লাল, অবশ্যই মেয়েটা হালকা গোলাপি লিপষ্টিক ব্যবহার করত। অন্য আরেক টি ছেলে ইমন। পড়ালেখায় ও ভালো। প্রথম ক্লাসেই প্রিয়া কে দেখে কেমন যেন ভালো লেগে যায়। কিছু দিন পর দেখতে দেখতে ভালোবাসায় রৃপ নেয়। এরই মধ্য প্রিয়া দিকে অবাক ভাবে তাকিয়া থাকার কারনে বন্ধুরাও বুঝে যায় ইমন প্রিয়াকে ভালোবাসে। জানা জানি হতে হতে তা প্রিয়া ও জানতে পারে। তবে তার কোন প্রতিক্রিয়া ছিল না। এভাবে যেতে যেতে জয়র সাথে দেখা প্রিয়ার। জয় তার এক  বয়সে অনেক বড়। মেয়েদের অনেক প্রস্তাব পেত প্রেমের। কিন্তু জয় রিজেক্ট করে বন্ধুদের কাছে বাহাদুর সাজত। যদিও বাহাদুর সে। হঠাৎ তার প্রিয়া কে দেখে ভালো লেগে যায়। দেখতে দেখতে প্রপোজ ও করে ফেলে। কিন্তু প্রিয়া রাজি হয় না। ২ বছর ঝুলানোর পরে আবার জয় প্রপোজ করে। এবার কোন মতে বন্ধুদের জন্য রাজী হয়ে যায়। যদিও অাগে থেকে সে রাজী ছিল।
জয় কে নিয়ে যখন বন্ধুরা কথা বলত তখন গোপনে ভাবত ভালোলাগার কথা। এর ই মধ্যে তাদের বিষয় জানাজানি হয়ে যায়। আর সেই ইমনও জানতে পারে। প্রথমে অনেক কষ্ট পায়। পরে কষ্টের মাঝেও চায় তার প্রিয় মানুষ টি সুখে থাকুক। পড়ালেখায় অার মন নেই। এতো প্রেমের ব্যার্থতার কষ্ট! চিন্তা করে অন্য কারো সাথে প্রেম করবে। কিন্তু তার চিন্তার জগতে ভালোবাসার অাসনে অন্য কেউ আসছে না। তাদের প্রেম শুরুর কিছুদিন পর থেকে প্রিয়া কেমন বদলে যেতে লাগল। অনেক শুকিয়ে গেছে মেয়েটা। সারাদিন কি যেন চিন্তা করে। ঠিকমত খেতেও পারে না। জয়ের সাথে তেমন কথা ও বলতে পারে না। প্রিয়ার পরিক্ষা শেষ। তার বিয়ে কথা চিন্তা করছে তার মা বাবা। শিক্ষিত পরিবার আর অাধুনিকতার ছোঁয়ার কারনে তার পরিবার রাজী হল তাদের বিয়ে তে। জয়ের বাবা ছিল না। মা ছিল রাজনীতিবিদ। তিনি প্রিয়াকে আগে থেকে চিনেন। তাই রাজি হয়ে গেলেন। ইদানীং প্রিয়ার শরীর অারো খারাপ হতে থাকে। এবং ডাক্তারের কাছে যায়। যদিও অাগে অনেক বার গিয়েছিল। তবে তার এসব খারাপ লাগার কথা বলে নি। ডাক্তার অনেক চেকঅাপ করে। পরে জানা যায় প্রিয়ার ব্লাড ক্যান্সার!!! একথা শুনে জয় ও কেমন পাল্টে যায়। আগের মত দেখা করে না কথা বলে না। আর প্রিয়ার ও বাঁচার কোন রাস্তা নেই।
চিকিৎসার জন্য তার বাবার তেমন অর্থ ছিলনা। তাদের ব্যবসাটাতে তো এখন অনেক লস্ হচ্ছে। প্রিয়া জয়ের বদলে যাওয়ার জন্য আরো খারাপ হতে থাকে। হঠাৎ কিছুদিন পরে ডাক্তার ফোনে বলছে, প্রিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে। ডাক্তারের কাছ থেকে প্রিয়ার বাবা পরে জানতে পারে এর ব্যবস্থা ইমন করেছে। সুস্থ হওয়ার পরে জয় ও অাসে দেখতে। প্রিয়া ভাবছিল যে ছেলে টা গায়ের রং দেখে গৃনা হত, যার চেহেরাটা খটাসের মত লাগত, যার নাক চাকমাদের মত মোটা লাগত সেই ইমন ছেলেটা অাসবে। কিন্তু অাসে নি। তারা অনেক ধনী। তাই এই সাহায্য হয়তো তাদের জন্য কিছুই না। যাইহোক রাতে তারা ইমনের বাসায় গেল। ইমনের মা কান্না করছে। তাদের একমাত্র পুত্র সন্তান। প্রিয়া কে দেখে ইমনের মা আরো কান্না শুরু করে। এবং বলতে থাকে “তোমার জন্য আজ আমার ছেলে মরতে বসেছে, সে এখন হসপিটালে।” সবাই চোটে হসপিটালের দিকে। ইমন তো শুয়ে অাছে। তার শরীরের অধিকাংশ রক্ত প্রিয়ার শরীরে। প্রিয়ার জন্য সব রক্ত জোগাড় হয় নি। বাকী টুকু ইমন দিয়ে ছিল। কিন্তু সে ভান করে অতিরিক্ত রক্ত দিল প্রিয়ার জন্য। এই সেই ছেলে যে পাগলের মত প্রিয়া কে ভালোবাসে। হঠাৎ প্রিয়ার বলে উঠল, “ইমন i love u” জয়-মানে কি? তোমার সাথে আমার কয়েক দিন পরে বিয়ে! -যে আমার বিপদে চলে যায়, যে আমার দুঃখের সাথী নয় সে আমার জীবন সাথী হতে পারে না কিন্তু ইমনের কপালে ভালোবাসা নেই। সে প্রিয়ার কথা শুনে হাসি মুখে চলে গেল না ফেরার দেশে। আর খারাপ লাগবে না ইমন কে দেখে। ইমনের কুৎসিত চেহেরা দেখে!
[ বি:দ্র: রূপে নয়, গুনী ব্যক্তিকেই ভালোবাসা উচিত! অসমাপ্ত ভালবাসার একটা করুণ প্রেম কাহিনীর প্রতিটা গল্প কাল্পনিক ]

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন